সোমবার (২৪ জুন) কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন হেনস্থার শিকার বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত আমেরিকান নাগরিক শেখ মোহাম্মদ আলী রনি। এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি পদবির পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ কালের কন্ঠকে বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা এটি।
আমি অভিযোগ পেয়ে ওই হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে ডেকেছি। পর্যটন শিল্পের স্বার্থে ব্যাপারটি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
হেনস্তার শিকার আমেরিকান নাগরিক শেখ মোহাম্মদ আলী রনি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে বসবাস করেন।
আজ বিকেলে যোগাযোগ করলে তিনি কালের কণ্ঠকে জানান, গত ২০ জুন কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোন এলাকায় ‘হোটেল কক্স ওয়েস্ট ইন’র ৬০৩ নম্বর হোটেল কক্ষে ওঠেন স্ত্রীসহ। পরদিন সকাল ১১টায় যথাসময়ে তারা হোটেল কক্ষ চেক আউট করেন। ব্যাগ হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষে রেখে বাইরে একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খেতে যান। খাবার খেয়ে হোটেলে ফিরলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে তোয়ালে চুরির অভিযোগ তোলে।
পরে ব্যাগ তল্লাশির জন্য জোর জবরদস্তি শুরু করে।
রনির অভিযোগ, এক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরার আড়ালে ব্যাগ নিয়ে জোরপূর্বক ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। কিন্তু এ সময় কোনো তোয়ালে পাওয়া যায়নি। বাসায় গিয়ে ব্যাগ থেকে এক হাজার ডলার এবং দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের একটি ব্রেসলেট পাওয়া যায়নি বলে দাবি তার।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার আবুল হোসাইন মিলন সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি হোটেলে উপস্থিত ছিলেন।
পর্যটক দম্পতির বিরুদ্ধে হাউজ কিপিং বয় তোয়ালে চুরির অভিযোগ তোলেন। হোটেল ডেস্কে থাকা কর্মকর্তারা ব্যাগ তল্লাশী করেন। পর্যটকের ব্যাগ থেকে কোনো জিনিস নেওয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত